শুক্রবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের ১৫৬ নম্বর নিজ কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ইয়াসের এফ ব্লকের মো. ইসলামের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শিবিরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইয়াসের। কয়েকদিন আগে স্থানীয় গ্রামবাসী ও রোহিঙ্গা মিলে শিবিরে অসামাজিক কার্যকলাপ করায় তিনি সি ব্লকের মো. ওসমানের ছেলে মো. সেলিম ও বি ব্লকের সেলিমকে ধরে শিবির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। তাদের শাস্তি দেওয়ার পর ছেড়ে দেয় শিবির কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয় তাদের গ্রুপের অন্য সদস্যরা। এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয় আলী খালী গ্রামের কালা চানের ছেলে ছৈয়দ আলম ও রেদোয়ানসহ সাত/আটজন দৃর্বৃত্ত শুক্রবার বিকেলে শিবিরে ঢুকে। একপর্যায়ে তারা কক্ষে থাকা ইয়াসেরকে বের হতে বলেন। ইয়াসের বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রকাশ্যে তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যান।
নিহত ইয়াসেরের স্ত্রী ইয়াসমিন বলেন, যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, হত্যার সঙ্গে রেদোয়ান ও আলম জড়িত। তারা দু’জনেই ইয়াবা বিক্রেতা। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮, আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা
আরবি/