সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সময় উত্তর পাশে চোখে পড়বে ময়লার ভাগাড়টি। ভাগাড় থেকে ১০ গজ দূরে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম।
এদিকে ওই রাস্তা দিয়েই জেলা শহরের প্রধান সড়ক, রাস্তা পেরিয়ে সরকারি মহিলা কলেজ, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, বিভিন্ন বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিকসহ দোকান পাট রয়েছে। এসব বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ না করায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের মধ্যে রোগ-জীবাণুও ছড়াচ্ছে।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী স্বজন মনির মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গন্ধের কারণে নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসে। জেলার প্রধান হাসপাতালের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে আমরা কিভাবে ভালো সেবা নিব।
আখাউড়া উপজেলা থেকে ফয়জুল হক তার মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে এসেছেন ডাক্তার দেখানোর জন্য। তিনি আপেক্ষ করে বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে দুর্গন্ধ সহ্য করা যায় না। এছাড়া সেখান থেকে অনেক রোগ জীবাণুও ছড়ায়।
ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারী নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে আমি যাতায়াত করি। বর্জ্যের দুর্গন্ধের কারণে নাকে রুমাল চেপে চলেতে হয়। এছাড়া যখন ময়লা পৌরসভার গাড়িতে তোলে তখন গন্ধ প্রকট আকারে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি। তারপরও কোনো কাজ হয়নি। বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এনটি