উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের বাঘৈর গ্রামের রাজাহালট নামের এক নির্জন এলাকায় এই স্থাপনাটির অবস্থান। ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটি ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে গেলে এর স্মৃতি ও ঐতিহাসিক জৌলুস ধরে রাখতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজস্ব অর্থায়নে স্থাপনাটি সংস্কার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ’বারো দুয়ারি’ বা ’বারো দোয়াইরা’ বিশ্রামাগারটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার আমলের একটি ঐতিহাসিক বিশ্রামাগার। নবাব পরিবারের লোকজন শিকারে বের হয়ে নির্জন এলাকায় বিশ্রাম করার জন্য এই বিশ্রামাগারটি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আর দেখাভালের অভাবে স্থাপনাটি প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছিলো। পরে তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এলাকার বায়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে স্থাপনাটি সংস্কার করেন। বর্তমানে বাঘৈর ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা এই বিশ্রামাগারে বিশ্রাম নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মেহের মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, এই স্থাপনাটি আমাদের ঐতিহ্য। দেখাভালের অভাবে স্থাপনাটি প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। চেয়ারম্যান সাহেব স্থাপনাটি সংস্কার করে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে রক্ষা করেছে। আমরা এখন এখানে বিশ্রাম নিতে পারছি। এতে আমাদের যেমন উপকার হয়েছে তেমনি ঐতিহ্য রক্ষা হয়েছে।
এ বিষয়ে তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জজ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ’বারো দুয়ারি’ বা ’বারো দোয়াইরা’ স্থাপনাটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিলো। স্থাপনাটি যেনো বিলুপ্ত ও বেদখল হয়ে না যায় সেজন্য নিজস্ব অর্থায়নে এটি সংস্কার করেছি। এছাড়া বিশ্রামাগারের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য দেয়ালে টাইলস লাগানো হয়েছে। এলাকার মুসল্লিরা এখন এখানে বিশ্রাম নিতে পারছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
আরএ