বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় লঞ্চটি চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় লঞ্চে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল।
এদিকে, এ অগ্নিকাণ্ডে লঞ্চের ইঞ্জিন, জেনারেটর, পাওয়ার সেকশন, ডায়াস মেশিনসহ আট কোটি টাকার মালপত্র পুড়ে গেছে বলে দাবি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের।
রফ রফ লঞ্চের মাস্টার মো. মামুনুর রশিদ জানান, সকালে ইঞ্জিন চালু করার পরপরই বিকট শব্দ হয়ে আগুন ধরে যায়। এসময় দ্রুত যাত্রীদের টার্মিনালে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর লঞ্চে থাকা ও আশপাশের লঞ্চের স্টাফ এবং নৌ-টার্মিনালে থাকা ব্যবসায়ীরা এসে আগুন নেভারো চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে প্রায় ২০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।
মালিক পক্ষ মেসার্স রাকিব ওয়াটার ওয়েজ কোম্পানির ম্যানেজার মো. ফরিদ আহম্মেদ জানান, অগ্নিকাণ্ডে আমাদের লঞ্চের ইঞ্জিন, কেবিন ও আসবাবপত্রসহ প্রায় আট কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এনায়েত উল্লাহ, বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক রতন কুমার বাংলানিউজকে বলেন, ইঞ্জিন রুমে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এসআই