রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্বে দেন অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলার তদারককারী কর্মকর্তা কাজী শফিকুল আলম।
ফেরদৌস জুবায়েত ইসলাম ভূঁইয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসটুআরএস করপোরেশনের (৩২৯/১/এ, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, (২য় তলা), ঢাকা) মালিক। তিনি মাতুয়াইল মধ্য এলাকার (ভূঁইয়া হাউজ, মাতুয়াইল,যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২) মাজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা গেছে, এই মামলার ১নং আসামি রাশেদুল হক চিশতী অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। তিনি ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) ছেলে। ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার (বাবুল চিশতীর) বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার সাজলী শবনব (৩৫), (সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজার দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ, বকশীগঞ্জ শাখা, জামালপুর; পিতা: জিএম সরোয়ার জাহান, স্বামী: গোলাম রসুল সেতু; বর্তমান ঠিকানা: বাড়ী নং ৪১৯, রোড নং ৩০, মহাখালী ডিওএইচএস, ঢাকা; স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম: যাদুরচর, টেঙরামারী, বকশীগঞ্জ, জামালপুর ) ও ব্যাংকের বগুড়া শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার সোহেল রানা (সাবেক ব্যবস্থাপক, দি ফারমার্স ব্যাংক লি., টাঙ্গাইল শাখা; পিতা: মো. আ. কাদের, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম: কুইচতারা, ডাকঘর: বিশ্বাস বাথুলি, থানা: দেলদুয়ার, জেলা টাঙ্গাইল; বর্তমান ঠিকানা: বাড়ি নং ৭০, রোড নং ১১, সেক্টর-১০,উত্তরা, ঢাকা)।
দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, দি ফারমার্স ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার কথিত গ্রাহক আরসিএল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ নামের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া ৯ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার (দি ফারমার্স ব্যাংক, বকশীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা, মিরপুর শাখার মাধ্যমে ৫৪ লাখ টাকা এবং টাঙ্গাইল শাখায় নগদে ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ২ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ২ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা) কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে আসামিরা এই অপরাধলব্ধ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার মোতাবেক এসটিআর (সাসপিসিয়াস ট্রাঞ্জিট রিপোর্ট ) না করাসহ ব্যাংকিং বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে ব্যাংকে জমা করেন এবং তৎপরবর্তীতে বর্ণিত অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে জ্ঞাতসারে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক লেয়ারিং করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২ এর ৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বাংলানিউজকে জানান, এই ঘটনায় টাঙ্গাইল মডেল থানায় রোববার মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ধারায় মামলা (নম্বর ১১) করেছে দুদক।
মামলার বাদী হয়েছেন অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক (মানিলন্ডারিং) মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আরএম/এমএ