সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের তুরাগ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন, গুরু মা আব্দুল ওরফে শিখা হিজড়া (৩০), বড় মা রশিদা হিজড়া (৪০) ও গাড়িচালক নুরুন্নবী (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী আঁখি হিজড়া বলেন, সকালে একটি প্রাইভেটকারে টঙ্গী যাওয়ার পথে আশুলিয়ার তুরাগ এলাকায় এলে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার আমাদের চাপা দেয়। প্রথমে আমরা মনে করি সড়ক দুর্ঘটনা। কিন্তু পরে দুর্বৃত্তরা আমাদের গাড়িকে ব্যারিকেড দেয়। এ সময় গাড়ি থেকে তিনজন সন্ত্রাসী বের হয়ে বাজারের ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। সেসময় আরও দু'জন গাড়ির ভেতরে বসা ছিল। আমি পেছনে বসে পড়ায় কোনো রকমে বেঁচে যাই।
হিজড়াদের সর্দার মিষ্টি হিজড়া বলেন, আমরা আশুলিয়ার জামগড়া মোল্লাবাজার এলাকায় থাকি। সকালে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে টঙ্গীতে একটি মিটিংয়ে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। সাড়ে ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা আমাদের উপর হামলা চালালে চালকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ নাছির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে শিখার পেটে ও বুকে দু'টি গুলি লেগেছে। রাশিদারও বুকে গুলি লেগেছে। আর চালক নুরুন্নবীর বাঁ হাতে একটি গুলি এবং দু'টি গুলি বুকে লেগেছে।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, গুলিবিদ্ধ হিজড়াদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাদের হত্যার উদ্দেশে গুলি করে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এএটি