মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে মাহাবুব জামান ভুলু রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জানা গেছে, মাহবুব জামান ভুলু মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে একটি প্লেনে ওঠেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে প্লেনটি রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রামেক হাসপাতালের ৩২ নং ওয়ার্ডে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি চার বছর রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন।
পরে ভোট হলে দলীয় মনোনয়ন পান মাহবুব জামান। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে পরাজিত হন।
রাজশাহীর বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, মাহবুব জামান ঢাকা থেকে রাজশাহী বিমানবন্দরে পৌঁছে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় নেতাকর্মীরা সেখানে ভিড় করেন।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান বাবু জানান, বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাদ যোহর রাজশাহী কলেজ মাঠে তার (মাহবুব জামান) জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেঁতমখা গোরস্তানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
এদিকে, মাহবুব জামান ভুলুর মৃত্যুর খবরে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর রাজনৈতিক ও পেশাজীরী সংগঠনের নেতারা। পৃথক শোক বার্তায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ সদস্য এনামুল হক, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিঘাত পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার গভীর শোক প্রকাশ করেন।
একইসঙ্গে তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমাবেদনা জানিয়ে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এসএস/জেডএস