ওআইসির সচিবালয় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম মসীহ।
বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলাম ও মিনিস্টার আনিসুল হক সভায় যোগ দেন।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে বা সদস্য রাষ্ট্রের বাইরে কোনো মুসলিম দেশে নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে। এই পুরস্কারে সেইসব প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে যারা, নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছে, নারীর দক্ষতা ও উন্নয়নকাজে অংশিদারীত্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি, সামাজিক, মানবিক, উন্নয়নশীল ক্ষেত্র, উদ্যোক্তা, শিল্প, স্বাস্থ্য বা কমিউনিটি পরিষেবা এবং অন্যান্য কল্যাণকর ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য কাজ করছে।
সভায় রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী এবং বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন। এসব কাজের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং নারী অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তিনি প্রধান প্রস্তাবক। গোলাম মসীহ বলেন, নারীর অগ্রগতি ও ক্ষমতায়নে ওআইসির যেকোনো উদ্যোগকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।
বৈঠকে পুরস্কারের প্রকৃতি ও মান, তহবিল সংক্রান্ত বিষয়, মনোনয়ন মানদণ্ড, পুরস্কার ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন কমিটি এবং বিজয়ীদের ঘোষণা করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালে আইভরিকোস্টের আবিদজানে ওআইসি পরিষদের ৪৪তম অধিবেশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলনে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া এ বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরে বুরকিনা ফাসোতে ওআইসির নারীর উন্নয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নারীর সাফল্য অর্জনের জন্য পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বাংলাদশে সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
টিআর/জেডএস