এ বিধান নিয়ে ২০১৪ সালে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সম্পূরক এ আবেদন করেন। তবে অবকাশকালীন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ আবেদন উপস্থাপন করলে ‘অবকাশ শেষে নিয়মিত বেঞ্চে যেতে বলেছেন আদালত’- এমন তথ্য জানিয়েছেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
আগামী ১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খুলবে।
ইউনুছ আলী জানান, ২০০৮ সালে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২’ সংশোধন করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ওই বিধান যুক্ত করে। পরবর্তীতে মহাজোট ক্ষমতায় এসে সংশোধিত আরপিও সংসদে পাস করে। যা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে।
ওই বিধানের ৩ এর (১) ধারায় বলা হয়, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থন সংগ্রহ, ইত্যাদি (১) স্বতন্ত্র প্রার্থী যে নির্বাচনী এলাকা হইতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ইচ্ছুক, কেবল সেই এলাকার ভোটারদের সমর্থন ফরম (ক)-তে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতার অনুকূলে সংগ্রহ করিতে হইবে। ’
‘(২) স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তদকর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কর্তৃক তফসিলের ফরম-ক-তে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের তথ্য লিপিবদ্ধপূর্বক ভোটারগণের স্বাক্ষর কিংবা টিপসহি সংগ্রহ করিতে হইবে। ’
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের নিজ এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর লাগবে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়। ফলে আইনটি একদিকে যেমন বৈষম্যমূলক, তেমিন সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এর মধ্যে ইউনুছ আলী আকন্দ ২০১৪ সালে বরিশাল-৫ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে গেলে সংশোধিত আরপিও’র ওই বিধানের কারণে পারেননি। তাই তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
ইউনুছ আলী জানান, বিবাদীরা এখনো রুলের জবাব দেননি। এবং রুল শুনানিও হয়নি। তাই এ সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত চেয়ে সম্পূরক এ আবেদন করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
ইএস/জেডএস