মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কলেজের পুরনো ভবনের পাশে কর্তনকৃত গাছগুলো পাওয়া যায়। কর্তনকৃত এসব গাছের আনুমানিক দাম ২ লাখ টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও গাছ কাটতে আসা শ্রমিকরা জানান, কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় কোনো সম্পত্তি না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুরনো ভবনে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই ভবনের পাশেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসব গাছ ছিলো। গত দুইদিন আগ থেকে গাছ কাটা শুরু হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচটি গাছ কাটা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি গাছ স্কুলের রয়েছে। এর একেকটি গাছের দাম হবে ৪০-৪৫ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মুকবুল আহমেদ বলেন, আমি স্কুল ও কলেজের কাজের জন্য গাছগুলো কেটেছি। এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ জেনেছি। কিন্তু এর জন্য অনুমতি নিতে হয় সেটা আমার জানা ছিলো না। কাজটি আমার ভুল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফিকুর রহমান পাটওয়ারীর কাছে পরিষদে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছ থেকে ওই প্রতিষ্ঠান কিংবা চেয়ারম্যান কোনো ধরনের অনুমতি নেয়নি। আমরাও গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেইনি। তারা আমাদের ২টি গাছ কেটেছে। তবে সংবাদ পাওয়ার পরপরই লোক পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাকি গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। তবে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার ঘটনায় আমরা বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
আরএ