মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মুমুর্ষূ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সে ওই গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে লিটন বিষাক্রান্ত হয়ে নিজ ঘরে ছটফট করতে থাকেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ দাস গুরুতর অবস্থায় লিটনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল কাইয়ুম বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে পুকড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ আবিদ আলী বাংলানিউজকে জানান, লিটনের সঙ্গে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৪ বছর ধরে সম্পর্ক চলার লিটনের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু লিটন দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় তারা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এ কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এএটি