বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সরাইকান্দী গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সরাইকান্দী গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে মফিজুল ইসলাম ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মফিজুল ক্রমাগত ওই স্কুলছাত্রীকে হুমকি দিচ্ছিল। বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় সরাইকান্দী গ্রামের নীলু মাঝির কলাবাগান সংলগ্ন এলাকায় মফিজুল ওই স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করে। সেখান থেকে গুরুতর আহতবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে প্রথমে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাশারফ হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, ওই স্কুলছাত্রীর ডান হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে, মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাছাড়া শরীরের অন্যান্য স্থানেও মারাত্মক জখম রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, বখাটে মফিজুলকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন পাঁচ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এনটি