এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীরা বিক্ষোভ করে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। আহত ছাত্র রিয়াজ বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মো. মাজেদ বেপারীর ছেলে।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাবুগঞ্জ সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার মেকানিক্যাল বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজ ক্লাসের ফাঁকে পানি পান করতে যায়। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রকে ক্লাসের বাইরে দেখে উত্তেজিত হয়ে মারধর করলে রিয়াজ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মৃধা মু. আক্তার-উজ-জামান মিলনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। পরে প্রধান শিক্ষক বাবুগঞ্জ থানার ওই ছাত্রের নামে মামলার প্রস্তুতি নেয় বলেও অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার বাড়ৈ সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে শিক্ষকদের মিটিং চলাকালে নবম শ্রেণির ভোকেশনাল শাখার মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা গোলমাল করছিল। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীরা শাসন করেন। এতে রিয়াজ নামে ওই ছাত্রকে চড় থাপ্পর মারার কথাও স্বীকার করেন তিনি। তবে নির্মম প্রহরের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন প্রধান শিক্ষক রনজিৎ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন বাংলানিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র নির্যাতনের খবর পেয়ে দ্রুত বিদ্যালয়ে পৌঁছে ছাত্র-ছাত্রীদের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিবাকর চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রদের নিয়ে ঝামেলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/