মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার ১৬ নম্বর রোডের বাসিন্দা স্থপতি একেএম ফয়জুল আলম রনি সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিটে বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দুপুর ১২টা ১ মিনিটে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একটি অপরিচিত নম্বর (০১৮২৫৩৯১৪০০) থেকে জনযুদ্ধের নেতা বিপুল পরিচয় দিয়ে আধা ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে পরিবারের সদস্য ও সন্তানদের অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
তার মতো মোট পাঁচজন স্থপতির কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন বলে জানান।
চাঁদা দাবির ঘটনায় রনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খালিশপুর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন, যার অভিযোগ নম্বর ৯৪৮।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরে একেএম ফয়জুল আলম তার পরিচিত আরেকজন প্রকৌশলী হাসান শাহরিয়ার খান নিলয়ের কাছে জানতে পারেন, তার কাছেও একই নম্বর থেকে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হয়েছে।
স্থপতি একেএম ফয়জুল ইসলাম কেডিএ নিউমার্কেট এলাকায় লিভিং সিস্টেম কনসালট্যান্ট নামে একটি আর্কিটেক্ট ফার্মের পরিচালক।
এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে জানা যায় বয়রায় আর্কিটেক্ট ফার্ম বসতভিটার কর্নধার স্থপতি আল-মাসুম বিল্লার ফোনে একই নম্বর দিয়ে ফোন দেওয়া হয়। তিনি জরুরি মিটিংয়ে থাকায় রিসিভ করতে পারেননি।
একইভাবে নন্দন বিল্ডার্সের স্থপতি জাহিদুর রহমান জিসানের কাছেও চাঁদা দাবি করে চক্রটি। একই সময় জোয়র্দ্দার হাফিজ নামে আরও একজন স্থপতির কাছে একই নম্বর থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবুর লোক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করা হয়, এক্ষেত্রেও চাঁদা না দিলে হত্যা ও অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি থানার বাইরে একটি কনফারেন্সে ছিলাম। শুনেছি একটি জিডি হয়েছে। থানায় গিয়ে দেখছি কে বা কারা এ কাজ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআরএম/এএ