মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানানো হয়।
পিবিআই কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল পাবনা সুজানগর থানার বোনকোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক মো. মশিউর রহমানের বাড়িতে প্রথম ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। সেখানে খোরশেদ মণ্ডলসহ ১০/১২ জন ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। ডাকাতরা পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ ২৬ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মশিউর বাদী হয়ে সুজানগর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
এরপর ঈশ্বরদী উপজেলার স্কুলপাড়া গ্রামে শাহান শাহ আলমগীর বাবুর বাড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেখানেও সর্দার খোরশেদ ও তার ১০/১২ জন সহযোগী ছিলেন। ডাকাতিকালে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পাবনার ঈশ্বরদী থানায় আলমগীর বাবুর ভাগিনা হাসান মাহমুদ বাদী হয়ে থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
এ দু’টি ঘটনায় পিবিআই পাবনা জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হকের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামরুল হোসেন ও সবুজ আলীকে নিয়ে একটি তদন্ত দল গঠন করে।
মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর মোবাইলের সূত্র ধরে সুজানগর উপজেলার বোনকোলা গ্রাম থেকে রিপন মিয়া (৫৫), বাচ্চু শেখ (৪০), নাজিরগঞ্জ গ্রাম থেকে জহির মণ্ডল (৪৮) ও রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থেকে ফেরদৌস শেখ (৩০) নামে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত সর্দার খোরশেদ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই পাবনা কার্যালয়ের উপ পরিদর্শক (এসআই) সবুজ আলী বলেন, গ্রেফতার ডাকাত খোরশেদ মণ্ডল পিবিআই কার্যালয় ও আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পাবনার দু’টি ডাকাতির ঘটনাতেও তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর বাইরেও দেশের বিভিন্ন জেলায় তিনি অর্ধশতাধিক ডাকাতি করেছেন। কিন্তু এবারই প্রথম তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ দু’টি ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা আটজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি ডাকাত দলের সদস্যদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসআরএস