বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ চার্জশিটের অনুমোদন দেয় কমিশন।
এর আগে ২০১৫ সালে তুরস্ক সরকার ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানিয়েছিল বাংলাদেশি সরকারি কর্মচারীরা পাসপোর্ট নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রথমে সরকারি পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে গর্ভমেন্ট অর্ডার (জিও) নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। এরপর পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে সরকার। এরপরই ধীরে ধীরে থলের বিড়াল বের হয়ে আসতে থাকে।
ভয়াবহ এই জালিয়াতি চক্রে তখন নাম আসে পাসপোর্ট অধিদফতরের দুই পরিচালকেরও। পরে সাময়িক বরখাস্ত হন তারা।
একপর্যায়ে ঘটনাটি আমলে নিয়ে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায় তারা। এখন তারা পাসপোর্ট অধিদফতরের দুই পরিচালকসহ ৭১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট অনুমোদন করলো।
এতে বলা হয়েছে, আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে অবৈধভাবে ৬৫ জনকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার নাম ও পদবি ব্যবহার এবং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করেন। এরপর তারা ওই ৬৫ জনের জাল অনাপত্তিপত্র (এনওসি) করে তা দিয়ে ৬৫টি সাধারণ পাসপোর্টকে অফিসিয়াল পাসপোর্টে রূপান্তর করেন। একপর্যায়ে ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে কিছু সংখ্যক লোক অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে চলে যান।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, কর্মকর্তাদের হাত করে মিথ্যা তথ্য ও জাল অনাপত্তি সনদের ভিত্তিতে অনেক লোক সাধারণ পাসপোর্টকে অফিসিয়ালিভাবে রূপান্তরিত করেন। এরপর তারা বিভিন্ন দেশে চলে যান। এ রকম ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহারকারী চার বাংলাদেশিকে তুরস্ক পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটিত হলে দেশটির সরকার তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
এরপর জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসলে দীর্ঘ অনুসন্ধানে নামে দুদক। শেষে ১৮ জন পাসপোর্টধারী ও পাসপোর্ট অফিসের তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে কমিশনের উপ পরিচালক বেনজির আহমেদ মামালাটি দায়ের করেন।
মামলাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক শফি উল্লাহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এখন কমিশন এই ৭১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই এ চার্জশিট সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করা হবে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএম/টিএ