পরিবারের দাবি, একেই বাড়ির সঞ্জয় মজুমদারের ছেলে মিঠুন মজুমদারের (২৬) কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে (ফেসবুক) দিশা অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়। তাই লোক লজ্জার ভয়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে দিশা। পরে রাত ১টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
আত্মহননকারী দিশা উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের দড়ি উমাজুড়ি গ্রামের শুকুমার মজুমদারের মেয়ে। সে স্থানীয় কালিদাস বড়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহতের মা সাধন মজুমদার জানান, ‘কয়েকদিন আগে আমার মেয়েকে মিঠুন তাদের ঘরে ডেকে নেয়। এসময় মিঠুন জোর করে দিশার অশ্লীল ছবি তোলে। আমরা লোক লজ্জার ভয়ে কেউকে কিছু বলিনি। এরপর থেকে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল মিঠুন। পরে ইন্টারনেটে (ফেসবুকে) আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয় সে। মেয়ে ইন্টারনেটে তার ছবি দেখে লোক লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা মিঠুনের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। ’
দিশার বাবা সুকুমার মজুমদার জানান, ‘বিভিন্ন সময় মিঠুন আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। আমরা বাধা দিলে সে ও তার ছোট ভাই টিটু মজুমদার আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো। শেষ পর্যন্ত ওই লম্পটের জন্য আমার মেয়েকে প্রাণ দিতে হলো। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ’
প্রতিবেশী প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘মিঠুন এলাকার একজন চিহ্নিত মাদকবিক্রেতা। তার জন্য নিরীহ ওই মেয়ের জীবন দিতে হয়েছে। আমরা মিঠুনের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। ’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. ইকরাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ওই রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহের বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিঠুন ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টার পাশাপাশি মূল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
জিপি