বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সম্পাদক পরিষদের পক্ষে এর সাধারণ সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নিয়ে সম্পাদক পরিষদের আহুত কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সম্পাদক পরিষদকে পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পাদক পরিষদের পক্ষে এর সাধারণ সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের সব অংশীজনই মনে করেন সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’টি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক আঘাত।
কিন্তু সব বিরোধীতা ও আপত্তি উপেক্ষা করে সরকার কণ্ঠভোটে যেভাবে আইনটি পাস করে তা সংবাদমাধ্যমের জন্য দুঃখজনক ঘটনা হিসেবেই বিবেচিত হবে। এ অবস্থায় আমাদের রাজপথে প্রতিবাদ জানানো ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই সম্পাদক পরিষদ শনিবার ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে। কেবল সম্পাদক পরিষদই নয়, অনুরূপ কর্মসূচি নিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এ প্রেক্ষাপটে তথ্যমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ আমলে নিয়ে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে ৩০ সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে তার অনুরোধে ২৯ সেপ্টেম্বর আহুত সম্পাদক পরিষদের কর্মসূচিও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। এরআগেও মন্ত্রী যখন কোনো বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমরা অংশ নিয়েছি। যদিও সেসব আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলা যাবে না।
এবারেও আমরা আলোচনার মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধকারী ধারাগুলো অপসারণ করা হবে আশা করি। কিন্তু সেটি যদি না হয় আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহতই রাখতে হবে।
সরকার সংবাদমাধ্যমের অংশীজনের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাকে আমলে নিয়ে দ্রুত আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেবেন বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
ওএইচ/