মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে সাঁতারকুল রোড পশ্চিম পদর দিয়া এলাকার মজিবরের ভাড়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত হৃদয় মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিহাইন্না গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে হৃদয় মেঝো । মজিবরের ওই টিনশেড বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া থাকতো।
হৃদয়ের বড় ভাই রিপসান বাংলানিউজকে জানান, পেশায় বেকার ছিল হৃদয়। আগে লেখাপড়া করতো। পাশাপাশি বাসার ভাড়াটিয়া এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। মঙ্গলবার সকাল ওই মেয়েটি হৃদয়ের রুমে আসে। রুমের দরজা বন্ধ করে ভেতরে কথা বলে তারা। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি রুম থেকে বেরিয়া যায়। তবে হৃদয় আবার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ডাকাডাকির পরও সে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি বাঁশের আড়ার সঙ্গে পরণের শার্ট পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে হৃদয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সকাল ১০টার দিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো ও আর সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৮
এজেডএস/এএটি