মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, বড়হর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পূর্ব দেলুয়া গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ঠান্ডু, ঘাটিনা গ্রামের ওসমান গণির ছেলে নাজমুল হোসেন, কয়ড়া চরপাড়া গ্রামের মৃত গঞ্জের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ও কয়ড়া কৃষ্ণপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নজরুল ইসলাম।
এ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় মামলার নয় আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান আসামি পলাতক জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদ ও কয়ড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের কাছ থেকে জামায়াত নেতা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১ অক্টোবর) রাতে পাঁজজন ও মঙ্গলবার বিকেলে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রধান আসামিসহ বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোমবার (১ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া চরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে নাশকতার ২০ মামলার আসামি ও উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল আজাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নেওয়ার পথে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের নেতাকর্মী বাধা দেন। এক পর্যায়ে তারা হাতকড়াসহ পুলিশের কাছ থেকে আজাদকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
** পুলিশের কাছ থেকে জামায়াত নেতা ছিনতাই
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
এসআরএস