‘বিচারার্থে ও দণ্ডদানার্থে বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের (বাংলাদেশের নাগরিক) বাংলাদেশে আনয়নের বিষয়ে পর্যালোচনা ও এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্ত টাস্কফোর্স’ গঠন করে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করেছে।
আইনমন্ত্রীকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের টাস্কফোর্সে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, পররাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, সুরক্ষা সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক।
টাস্কফোর্সের কার্যপরিধিতে বলা হয়ছে, বিদেশে অবস্থানরত আসামিদেরকে (বাংলাদেশের নাগরিক) বিচারার্থে ও দণ্ডদানার্থে বাংলাদেশে আনার উদ্দেশ্যে তাদের নামের তালিকা প্রণয়ন করবে।
যথাযথ সূত্র ব্যবহার করে বিদেশে আসামিদের অবস্থান চিহ্নিতকরণ, সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আসামিদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার উপায় নির্ধারণ এবং ফেরত আনার কার্যক্রম তদারকি এবং কোনো আসামি এরইমধ্যে বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করে থাকলে সেক্ষেত্রে তাকে ফিরিয়ে আনার উপায় নির্ধারণ ও এ সংক্রান্ত কার্যক্রম তদারকি করা হবে।
জননিরাপত্তা বিভাগ এ টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের কার্যক্রম আগের ধারাবাহিকতায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। টাস্কফোর্সের সভা প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে।
পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে এর আগে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। তবে এখন থেকে নতুন টাস্কফোর্স কার্যকর হবে।
বঙ্গবন্ধুর খুনিসহ বিদেশে পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই টাস্কফোর্স কাজ করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস