মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীর বাইপাস স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় খুলনাগামী ৭২৬ আন্তঃনগর ট্রেনটি নিয়ম অনুসারে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে প্রবেশ না করে ঢাকা-আবদুলপুর-রাজশাহী রেলরুটের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ঢুকে পড়ে।
এ ব্যাপারে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে না ঢুকে টেক পয়েন্ট পরিবর্তন করে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ঢুকে পড়ে। ভুল করে এটি হয়নি। ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ট্রেনের চাকার ক্ষয়রোধে উল্টো দিকে চলাচলের উদ্দেশ্যেই (র্যাক) এটি করা হয়েছে। এতে চাকা সচল হয়, এবং এর মাধ্যমে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে বগির দিক পরিবর্তন করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছে সাড়ে ১১টায় খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু মঙ্গলবার এটি ২ ঘণ্টা বিলম্বে দুপুর দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে পৌঁছায়। পরবর্তীতে বগি ঘুরাতে আরও কিছুটা সময় লাগে। এতে করে সোয়া দুইটার দিকে ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছায় ও আড়াইটার দিকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
অভিমুখ বদলানোর ব্যাপারে যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলামও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ট্রেনগুলো নিয়মিত একইদিকে চলতে থাকায় একদিকের চাকা বেশি করে ক্ষয় হয়। এ অসুবিধা দূর করতেই কখনো ট্রেন উল্টো দিকে চালানো হয়।
এদিকে সময় মতো ট্রেন না পৌঁছানোয় দুর্ভোগে পড়েন ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৯
এইচজে