বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়া থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই শ্রমিক। এর আগে গত রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়ার বেরন এলাকার ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মিজানকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত মিজান বগুড়া জেলার বাসিন্দা। তিনি ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। ভুক্তভোগী শ্রমিক ওই কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার নিমতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, গত রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক (এজিএম) মিজান তার কক্ষে সজলকে ডেকে নেন। পরে তার উৎপাদন কম হওয়ার কারণ দেখিয়ে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে জিপারসহ প্যান্ট দিয়ে তার চোখে আঘাত করলে চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে সজল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে একটু সুস্থ হয়ে বুধবার আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিজান বাংলানিউজকে বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমি আসলে ইচ্ছা করে এটা করিনি।
ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত মিজানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই শ্রমিকের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় কারখানা কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এমআরএ/আরএ