গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শহরের নিউফিল্ড মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এসময় অসুস্থ ঈগলটিকে দেখতে ভিড় জমান আশপাশের শতাধিক লোকজন।
স্থানীয় ক্রিকেটার রিপন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে নিউফিল্ড মাঠের পাশের বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে ছটফট করতে থাকে একটি দেশীয় ঈগল। দেখতে পেয়ে মাটি কাটার শ্রমিক হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের মতলিব মিয়া একে প্রথমে পানি পান করান। পরে ঘরে নিয়ে পরিচর্যার পর আকাশে উড়িয়ে দেন পাখিটিকে।
মতলিব মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই পাখিকে ভালবাসি। ঈগলটি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে প্রায় দু’ঘণ্টা পরিচর্যা শেষে সন্ধ্যায় এক আকাশে উড়িয়ে দেই।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইসহাক বাংলানিউজকে বলেন, সব ধরনের পাখিই পরিবেশের জন্য উপকারী। ঈগল একটি শিকারী পাখি। ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটি আমাদের দেশীয় প্রজাতির ঈগল। একে সুস্থ করে মুক্ত করে দেওয়ায় ওই শ্রমিক মহৎ এক কাজ করেছেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকীল বলেন, পাখির প্রতি ওই শ্রমিকের দরদ ও ভালোবাসা আমাদের অভিভূত করেছে। শ্রমিক হলেও তিনি দেখিয়ে দিলেন কীভাবে পরিবেশের প্রতি, জীববৈচিত্রের প্রতি সচেতন নাগরিকের মতো সদয় হতে হয়। এভাবে আমরা যদি পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি সচেতন হতাম, তাহলে আজ আমরা এই পরিবেশগত বিপর্যয়ের শিকার হতাম না। ঈগল বাংলাদেশের একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। একে সংরক্ষণের জন্য বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এবি/এইচএ/