বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টার দিকে টেলিভিশন বিস্ফোরণ থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত ফজলুল হক টুনুর স্ত্রী রহিমা বেওয়া তার ছোট ছেলে বেলজিয়ামের পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। বড় ছেলে বায়জিদ হক চাকরির সুবাদে অন্য জেলায় থাকেন।
সম্প্রতি রহিমার ছোট ছেলে বেলজিয়াম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে যান। এ কারণে রহিমা তার ছোট ছেলের শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তারা টেলিভিশন দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে চালু থাকা ওই টেলিভিশন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে তাদের ঘুম ভেঙে যায়।
তারা দেখেন আগুনের ফুলকি ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে লেগে আগুন ধরে গেছে। এসময় তারা দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন।
মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে গেলে পরে স্থানীয়রা ও ধুনট ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর ভোর ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভার আগেই পুরো বাড়ির কয়েকটি ঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।
রহিমা বেগম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ঘরে থাকা নগদ অর্থ, পাঁচটি ছাগল, ধান এবং সংসারের প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
ধুনট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক শামীম রেজা বাংলানিউজকে বলেন, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই বাড়িটির আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এফএম/এএ