রোববার (২৭ অক্টোবর) দিনগত রাত ১০টার দিকে তিনি নগরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকার নিজ মালিকানাধীন শিরিন মেডিক্যাল হলে অবস্থানকালেই আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শিরিন খানম নগরের ব্যপ্টিস্ট শিমন রোড এলাকার হুমায়ুনের স্ত্রী।
এদিকে মৃত্যুর আগে শিরিন তার নিজের ফেসবুক আইডিতে দু’টি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। যেখানে শিরিন তার নিজ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান থেকে উৎক্ষাতের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন। এর একটি ভিডিও চিত্রে শিরিন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পার্শ্ববর্তী ওষুধের দোকানি জনিসহ বেশ কয়েকজনের নামোল্লেখ করেন। পাশাপাশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি যে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তাও প্রকাশ করেন। এসময় তিনি জনগণ এর বিচার করবে বলেও উল্লেখ করেন।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিরিনের মৃত্যুকে ঘিরে অনেক আলামতই পাওয়া গেছে। এর কোনটিই ছোট করে দেখা হচ্ছে না। তাছাড়া শিরিনের ভিডিওতে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, তার প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোন একটা ঝামেলা চলছিল। পাশাপাশি তিনি অনেকটা আবেগতাড়িতও ছিলেন। যে কারণে এটি আত্মহত্যা হলেও হতে পারে। তবে, ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণা বলা যাচ্ছে না।
এর আগে নকল ওষুধ বিক্রির অপরাধে র্যাবের হাতে আটক হয়েছিলেন শিরিন খানম। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এমএস/এএটি