ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক কোম্পানির আয় থেকে নির্ভরতা কমানোর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
তামাক কোম্পানির আয় থেকে নির্ভরতা কমানোর দাবি সংবাদ সম্মেলনে তামাকবিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ‘আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ; গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে তামাক চাষ, তামাক কোম্পানির আয় থেকে নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে রোডম্যাপ গ্রহণ করতে হবে সরকারকে।

পাশাপাশি তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার, তামাক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সরকারি কর্মকর্তাদের রাখা, কৃষি মন্ত্রণালয়ে তামাক পাতার দাম নির্ধারনে কমিটি রাখা বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে তামাক কোম্পানিগুলোকে কর সুবিধা দিয়ে সরকারের নীতি ও কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তরুণ প্রজন্ম রক্ষায় নীতিতে তামাক কোম্পানির প্রভাব বন্ধ করুণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় তামাকবিরোধী জোট।

ওই জোটের বক্তারা বলেন, আগামী ’৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এমতাবস্থায়, কৃষি মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, অর্থ, শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত তামাক চাষ, তামাক কোম্পানির আয় হতে নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে রোডম্যাপ গ্রহণ করা। কোনোভাবে ওই কোম্পানিগুলোর পক্ষ অবলম্বন করে তাদের সুবিধা দেওয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরোধিতা করা সমীচীন নয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ এবং সংসদ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে প্রভাবিত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেওয়ার বিধানকে দুর্বল ও বিলম্বিত করা করা হয়েছে। বিড়ির সম্পূরক্ত শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা, পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিএটির ব্যাটেল অব মাইন্ড নামক প্রতিযোগিতা আয়োজনসহ আইনবিরোধী নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে যুব-সমাজকে তামাকে আকৃষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে।

বলা হয়, বিগত অর্থবছরে দুই হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা আদায়, খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিকে পাস না করার জন্য বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশনের, শিল্প, কৃষি, অর্থ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পত্র দেওয়াসহ নানাভাবে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়া বানচাল করতে ষড়যন্ত্র চলছে প্রতিনিয়ত। তাছাড়া আন্তর্জাতিক নানা গবেষণায় ই-সিগারেট মরাত্মক স্বাস্থ্যহানিকর প্রমাণিত হওয়ার পরেও বাংলাদেশে ই-সিগারেটের বৈধ ব্যবসার সুযোগ দাবি করেছে কোম্পানিগুলো।

তামাক কোম্পানির এ ধরনের অপচেষ্টাগুলোকে এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপগুলো এবং এর বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের উপদেষ্টা আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা, সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. নাজমুল হায়দার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান ও সঞ্চালনা করেন আর্ক ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।