এবছর জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা নারয়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের গোপালদি পৌরসভার কলাগাছিয়া গ্রামের আর এফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নাদিয়া আক্তারেরও (১৩)। তবে আর সব শিক্ষার্থীর মতো পরীক্ষার শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে না নাদিয়া।
পরীক্ষায় অংশ নিতে না দিয়ে এ বয়সেই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। তবে শেষ অবধি সেই বাল্যবিয়ে ঠেকালো প্রশাসন।
শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কলাগাছিয়া গ্রামে। নাদিয়া ওই গ্রামের হামিদ খানের মেয়ে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে বাল্যবিয়ের খবর আসে। এর ভিত্তিতেই আমরা পুলিশ পাঠাই। পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের অভিভাবকদের উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসে।
এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জল হোসেনের উপস্থিতিতে অভিভাবকরা তাদের মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন এবং মুচলেকা দেন। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই সময় কলাগাছিয়া গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদী চৌঘরিয়া গ্রামের মোতালিবের ছেলে আলামিনের সঙ্গে জেএসসি পরীক্ষার্থী নাদিয়ার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
অবশেষে প্রশাসনের তৎপরতায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়ায় এবছর জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে নাদিয়া। পরীক্ষার প্রবেশপত্রও হাতে পেয়েছে সে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষার একদিন আগে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় মানুষের বিবেক নাড়া দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এসএ/