ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগে দু’দেশই লাভবান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগে দু’দেশই লাভবান বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ

কক্সবাজার: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, যার সূচনা ১৯৭১ সালে বাংলদেশের মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের সহযোগিতা আজও বাংলাদেশের জনগণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ উভয় দেশের সম্পর্কে নবদিগন্তের সূচনা করেছে। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ: বাংলাদেশ ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক স্পেস- ৯ম রাউন্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী একথা বলেন।  

স্পিকার আরও বলেন, ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে মতবিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশ পারস্পরিকভাবে লাভবান হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনসহ দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকা অসামান্য। এসময় মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি, পানি চুক্তিসহ বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেন।  
 
তিনি বলেন, দীর্ঘ স্থলসীমান্ত, ৫৪টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ ভূমিকা রাখতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র অর্থনীতিসহ পারস্পরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে মতবিনিময় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এছাড়া, দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ভারসাম্য আনয়নে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
 
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদীয় কূটনীতি ব্যবহার করে দু’দেশের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ উদযাপন করবে ‘মুজিব বর্ষ’ এবং ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে দু’দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করবে।  

‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দু’দেশের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে বেশ ফলপ্রসূ ভূমিকা রেখেছে। ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিশ্বে রোল মডেল’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মোদী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখছে। দু’দেশের সম্পর্ক সুরক্ষিত করে পারস্পরিক বিশ্বসযোগ্যতার মাধ্যমে সন্ত্রাস দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উভয় দেশের ভূমিকা মাইলফলক হয়ে থাকবে। ’
 
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতের আসাম রাজ্যের অর্থ, উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং পূর্তমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বারানাসি, ভারতীয় রাজ্যসভার এমপি এমজে আকবর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ, বিমসটেকের সাধারণ সম্পাদক এম শহিদুল ইসলাম, ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশের সভাপতি ও টেকনো ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব টেকনোলজির পরিচালক ড. রাধা তমাল গোস্বামী বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং ভোট অব থ্যাংক্স দেন আলোক বাংশাল।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯ 
এসবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।