ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাকস্বাধীনতা না থাকলে কোনো স্বাধীনতাই থাকবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
‘বাকস্বাধীনতা না থাকলে কোনো স্বাধীনতাই থাকবে না’ বক্তব্য রাখছেন ড. শাহদীন মালিক। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দেশে বাকস্বাধীনতা না থাকলে কোনো স্বাধীনতাই থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘হুমকির মুখে বাকস্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শাহদীন মালিক বলেন, বাকস্বাধীনতা না থাকলে কোনো স্বাধীনতাই থাকবে না।

আমাদের জীবন পশুর জীবন হয়ে যাবে। স্বাধীন দেশে পশুর মতো বাঁচা যায় না।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছি। এভাবে বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হতে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও থাকবে না।

শাহদীন মালিক বলেন, এখন যতগুলো আইন তৈরি হচ্ছে, প্রত্যেকটি আইনেই বাকস্বাধীনতা খর্ব হয় এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমেরিকার ১৭৯১ সালের সংবিধানে বলা হয়েছে, বাকস্বাধীনতা খর্ব হয় এমন কোনো আইন সংসদে পাস করা যাবে না।  অথচ, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা সেই গণতন্ত্রে যেতে পারিনি। আমরা রাজা-বাদশাহদের যুগে ফিরে গেছি।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের বাকস্বাধীনতা না থাকলেও ক্ষমতাসীনদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। তারা যখন-তখন দেশের গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে যা ইচ্ছা তা বলে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামালের বিরুদ্ধে তারা যা ইচ্ছা তা বলছেন। এখানে তাদের বাকস্বাধীনতার রয়েছে।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আপনার চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এই আইন দিয়ে আপনার চিন্তা নিয়ন্ত্রণ হবে।

তিনি বলেন, প্রশাসনে যখন দলীয়-গোত্রীয়দের নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন তারা দলের ‘পারপাস সার্ভ’ করে, দলের পক্ষে বলপ্রয়োগ করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, চিন্তাকে প্রকাশ করতে দিতে হয়, পৃথিবী জুড়েই এর চর্চা চলছে। খাবার কম দিয়েও যদি মানুষকে কথা বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ কথা বলাটাই বেছে নেবে। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য বাকস্বাধীনতা প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসএমএকে/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।