পরে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের কর্মকর্তার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি কার্যক্রমের খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনটি ট্রেনের দুই হাজার ৯০৮ টিকিট বরাদ্দের বিপরীতে এক হাজার ৮২১টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। আর এক হাজার ১০৫ টি টিকিট অবিক্রিত রেখে দিয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের নির্দেশে বিভিন্ন স্টেশনের টিকিট বিক্রিতে অনিয়মের তদন্ত করার জন্য পাঠানো কর্মকর্তার গোপনে করা প্রতিবেদনে গত ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর দিনাজপুর স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোনো আসন খালি নাই মর্মে টিকিট কাউন্টারে বিজ্ঞপ্তি লাগানো ছিল। রেলওয়ের ওই কর্মকর্তার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি কার্যক্রমের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনাজপুর স্টেশনে তিনটি ট্রেনের দুই হাজার ৯০৮ টিকিট বরাদ্দের বিপরীতে এক হাজার ৮২১টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। আর এক হাজার ১০৫ টি টিকিট অবিক্রিত রেখে দিয়েছে। অথচ আসন খালি না থাকার বিজ্ঞপ্তি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে লাগানো ছিল। ওই তথ্য প্রমাণে ভিত্তিতে দিনাজপুর স্টেশনের অনুকূলে খালি থাকা সত্ত্বেও আসন খালি নেই প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিটি যাত্রী সাধারণের সঙ্গে প্রতারণা ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র। তাই রেলপথ মন্ত্রীর নির্দেশে এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে দিনাজপুর রেলস্টেশন মাস্টার (এসএম/ গ্রেড-৩) শংকর কুমার গাঙ্গুলী, ভারপ্রাপ্ত বুকিং সহকারী মো. আব্দুল আল মামুন, (বুকিং সহকারী/ গ্রেড ২) মো. রেজওয়ান সিদ্দিক ও মো. আব্দুল কুদ্দুস (বুকিং সহকারী/গ্রেড ২) এর কাউন্টারে অতিরিক্ত টাকা পাওয়ায় অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে তাকেসহ মোট চারজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
টিএম/আরআইএস/