রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে জেলা শহরের খাবাসপুর লঞ্চঘাট জোড়া ব্রিজের সামনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র এ ঘটনা ঘটে। ইয়াসিন শহরের ওয়ারলেস পাড়ার মনি শেখের ছেলে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জেলা সদরের রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মেলার মাঠের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামির ছবি সংগ্রহ করে ইয়াছিনকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর রোববার রাতে তাকে আটক করা হয়। পরে তিনি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিবন্ধী শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও পোশাক লঞ্চঘাট এলাকায় মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশকে জানায় ইয়াছিন। পরে তাকে নিয়ে নিয়ে সেই আলামত উদ্ধারে গেলে ইয়াছিন হঠাৎ পুলিশ সদস্যের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয় ইয়াছিন। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। পরে তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াছিনকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়াছিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে বিকেলে রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াছিন নামে ওই ধর্ষক। পরের দিন পাশের টেলিগ্রাম কার্যালয়ের পাশ থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
১৫ ডিসেম্বর রাতে মেলার মাঠ ও এর আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ জেলা পুলিশের অফিসিয়াল অনলাইন পেজে প্রকাশ করা হয়। ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ, ফরিদপুর নামে ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ওই সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত ব্রান্ডিং মেলার মাঠ থেকে বাম হাত ধরে ফাতেমাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে সন্দেহভাজন ওই খুনি।
ফাতেমার বাবার নাম এলাহি শরিফ। তিনি রিকশা চালানোর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথের গার্ড হিসেবে কাজ করেন। তিন মেয়ের মধ্যে ফাতেমা বড়। ফাতেমা জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক)। ওই কিশোরী বাবার সঙ্গে শহরের রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করতো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এসআরএস