সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রামু উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এসব পতাকা বিতরণ করা হয়।
নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার পাশাপাশি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে সংগঠনটি এ উদ্যোগ নিয়েছে।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমথ বড়ুয়া বলেন, ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে এবং তাদের হাত ধরেই অর্জিত আমাদের এই লাল-সবুজ পতাকা। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে এবং বিজয়ের সঠিক ইতিহাস জানাতে স্বপ্ন ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, এক হাজার শিক্ষার্থীর হাতে জাতীয় পতাকা, এ দৃশ্যটি মানুষকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মুহুর্তেই মানুষ ভাবতে বাধ্য হয় বাঙালি জাতি কীভাবে অর্জন করেছিল লাল-সবুজ এ জাতীয় পতাকা।
পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করে বাংলার দামাল ছেলেরা যেভাবে ছিনিয়ে এনেছিল এ পতাকা, মানচিত্র ও বিজয়, সে স্মৃতি চির জাগরুক রাখাই স্বপ্নের সব সদস্যের স্বপ্ন।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ও জাতিকে উজ্জীবিত করতে এটি অবশ্যই স্বপ্নের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমি তাদের এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয়, একাত্তরের স্বপ্নে নতুন প্রজন্মকে জাগ্রত রাখার পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এ ধরনের উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
এসবি/এফএম