সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের হরিশপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- সিংড়া উপজেলার গোবিন্দ নগর এলাকার আবুল কালামের ছেলে শো-রুমের কর্মচারী হাফিজ হোসেন (৩৫) ও নলডাঙ্গা উপজেলার পাটুল গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০)।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে আর আর এন্টারপ্রাইজের শো-রুম ভেতর থেকে বন্ধ করে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা লার্নার ও লাইসেন্স তৈরি করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় পুলিশ হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি খুলতে বললেও ভেতরের কর্মচারীরা না খোলায় পুলিশ তালা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন।
পরে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা তালা খুলে দিলে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে বিআরটিএর কাগজপত্র, কম্পিউটার ও বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল জব্দ করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্মচারী হাফিজ হোসেন ও হাবিবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শো-রুমের কর্মচারী জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই আর আর এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম কিবরিয়া মিজান বিআরটিএর লোকজনের সঙ্গে যোগসাজশে লার্নার ও লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মিজানকে আটক করতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
নাটোর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তিনি মিজান নামে কাউকে চেনেন না। বিপুল পরিমাণ বিআরটিএর কাগজপত্র মিজানের কাছে কিভাবে এলো এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
আরএ