মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগর অর্থমন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং জাতীয় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
২০ দশমিক ৫ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতি বছর জিডিপি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন ও প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যায়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব সম্পন্ন হয়েছে। হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হেজ) ২০১৬ অনুযায়ী ২০১৭, ১০১৮, ও ২০১৯ সালের প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে সবকিছু ব্যবহার করা হয়েছে।
দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে জিডিপি ১ শতাংশ বাড়লে দারিদ্র্য ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে। তবে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়লে দারিদ্র্যের হার কমেছে ০ দশমিক ৮৩৫ শতাংশ।
কয়েক বছর ধরেই দারিদ্র্যের হার কমছে। ২০০০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। একইভাবে ২০০৫ সালে ৪০ শতাংশ, ২০১০ সালে ৩১ দশমিক ৫, ২০১৬ সালে ২৪ দশমিক ৩ ও ২০১৭ সালে দারিদ্র্যের হাম কমেছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে দারিদ্র্যের হাম কমছে। দারিদ্র্য আমাদের প্রধান শত্রু। দারিদ্র্যের হাম কমায় প্রধানমন্ত্রী অনেক উৎফুল্লু। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দারিদ্র্যের হার কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
এমআইএস/ওএইচ/