বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ধুলো-বালিমুক্ত পরিচ্ছন্ন মহানগরী নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি আছে, ২২ তারিখ থেকে সিটি করপোরেশনের যে কন্ট্রাক্টররা কাজ করছে, তাদের জরিমানা করবো।
তিনি বলেন, মন্ত্রী-সচিবকে বলেছি, আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট দেন। ২২ তারিখ থেকে তাদের আমার সঙ্গে থাকতে বলেছি। আমি সবার সহযোগিতা চাই। সচেতনতা তৈরি করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
২২ তারিখের পর ভ্রাম্যমাণ অফিস করবেন জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আগামী ২২ ডিসেম্বরের পর আমার অফিস হবে গাড়িতে, মোবাইলে। আমি সিটি করপোরেশনে অফিস করবো না। যাদের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট থাকবে, তাদের যেখানে আমি থাকবো, সেখানে আসতে বলবো।
এক প্রশ্নর জবাবে আতিকুল বলেন, আমি বিজনেস কমিউনিটি থেকে এসেছি। যে ফ্যাক্টরি গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্টি কম্প্লায়েন্স করতে পারেনি, সেটি কিন্তু বন্ধ করে দিয়েছি। এটাই মেসেজ। কারণ আমরা ব্যবসা করার জন্য এসেছি। কম্প্লায়েন্স মেইনটেইন না করে সিটি করপোরেশনে কাজ করলে সেই কন্ট্রাক্টরের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে, তাকে জরিমানা করা হবে। আমরা জরিমানার মাধ্যমে তাদের নোটিশ দেবো। তারপর কাজ না হলে তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
মেয়র বলেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকায় আসলে কোনো মানুষ এখানে চলতে পারে না। ধুলাবালি দিয়ে মানুষের জন্য মৃত্যুর ফাঁদ করে রাখা হয়েছে। অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বিআরটিএ’কে অনুরোধ করবো, যে কন্ট্রাক্টররা কাজ করছে তাদের ধরুন, নাহলে আমরা সিটি করপোরেশন তাদের ধরবো। সেখানে তাদের শাস্তি দেবো।
তিনি বলেন, আমরা একটি সুইপিং মেশিন নিয়ে এসেছি। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরেও ছয়টি সুইপিং মেশিন আসবে। সুইপিং মেশিনে নিচের ময়লা উঠছে, কিন্তু উপরের ময়লা উঠছে না। তিন বছরের মধ্যে ঢাকার অলিগলিতে মেকানিক্যাল সুইপিং মেশিন দেখা যাবে।
এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দিন রাব্বানি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ সিটির প্রতিনিধি, ওয়াসা, রাজউক, পরিবেশ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
জিসিজি/একে