শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমরা মৃতের পশ্চাৎদেশে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি।
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহতের হৃৎপিন্ডের নমুনা সংগ্রহ করে হিস্ট্রোপ্যাথলোজিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
আরও পড়ুন >> উত্তরায় পুলিশের মারধরে গাড়িচালকের মৃত্যুর অভিযোগ
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আলমগীরকে নিয়ে আসেন কারারক্ষী মো. রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, হাজতি হিসেবে আলমগীর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। বিকেলে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আলমগীরের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানান, আলমগীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের শেষ মাথায় ফুলবাড়িয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন এবং সাত নম্বর সেক্টরে এক মালিকের গাড়ি চালাতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদরে। বাবার নাম মৃত নুরুল ইসলাম।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, ১৬ ডিসেম্বর রাতে ডিউটি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে ১১ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে সন্দেহবশত উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ১৭ ডিসেম্বর সকালে রাজ্জাকের স্ত্রী আলো খাতুনসহ তিনি থানায় যান। তখন আলমগীরকে গাড়িতে তুলে আদালতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
তিনি জানান, আলমগীর সেসময় হাঁটতে পারছিলেন না।
রাজ্জাক বলেন, আমার ভাইকে থানায় মারধর করেছে। এ মারের কারণেই সে অসুস্থ হয়ে পরেছে। বিকেলে জানতে পারি তাকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে আলমগীরকে মৃত অবস্থায় পাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এজেডএস/এবি