তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম শহরকে নান্দনিক করতে কাজ করে যাচ্ছি। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরেই তিনটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করেছি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্মেলন কক্ষে অায়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মেয়র নাছির এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চসিকের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখি শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো সংস্কার করেছি। কিছু ভবন পুরো ভেঙে নতুন করে তৈরি করেছি। যেখানে শিক্ষক সংকট ছিল সেগুলো মিটিয়েছি।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের আগে একটি প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সেভাবেই পরিকল্পনা করে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম। তখন মাঠের বাইরে ছিলাম, নির্বাচনে জয়ের পর মাঠের ভেতরে এসেছি।
‘সমস্যাগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছি এবং সেগুলো সমাধানে কাজ করেছি। যেখানে গেলে সমাধান হবে বলে মনে হয়েছে সেখানেই গিয়েছি। আমাদের যেসব প্রকল্প রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে বন্দরনগরীকে নান্দনিক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। ’
চট্টগ্রামের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে নগরপিতা আ জ ম নাছির বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সিটি করপোরেশন পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়।
‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ৫৬ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাজেটে ভর্তুকি বাড়ছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা রাখায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আলাদা সুনাম রয়েছে। ’
তিনি বলেন, আমরা বিলবোর্ড উচ্ছেদে নানা উদ্যাগ নিয়েছি। এখন বিলবোর্ডমুক্ত চিটাগং শহর। অনেক কাঁচা সড়ক ছিল, কিন্তু এখন তা কমে গেছে। সড়কে অনেক উন্নতি হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করি। যখন দায়িত্ব নিই তখন শহরের নিচু এলাকা জলমগ্ন ছিল, কিন্তু এখন তা নেই।
আরও পড়ুন...
** অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে চট্টগ্রামের মেয়র: নঈম নিজাম
‘পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তুলতে জনগণকে সচেতন করতে কাজ শুরু করি। বর্জ্য অপসারণেও আমরা নানা পদক্ষেপ নিই। এখন রাতেই সব ময়লা অপসারণ করা হয়। এদিক থেকে আমরা সফল। দায়িত্ব নেওয়ার সময় ১৩৫০টি কন্টেইনারে ময়লা ফেলা হতো, সেটা কমিয়ে ৫৮৫ টিতে এনেছি,’ বলেন মেয়র নাছির।
মেয়র বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলবো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা সফল। চট্টগ্রামের সড়কে আগে বাতি ছিলো না, আবার যেগুলো ছিলো সেগুলো জ্বলতো না, কার্যকর ছিলো না। আমি দায়িত্ব নিয়ে সড়ক আলোকিত করতে প্রকল্প নেই। খুব শিগগিরই পুরো চট্টগ্রাম শহর আলোকিত হবে। এটা আমরা বলেছিলাম, পুরো শহর আলোকিত করতে, আমরা সফল। এজন্য আমরা তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।
রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা সফল হতে পারিনি। কারণ, আমরা জনগণের উপর ট্যাক্স চাপিয়ে দিতে পারি না।
সংলাপের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলানিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন- বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক, নিউজটোয়েন্টিফোর ও রেডিও ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) নঈম নিজাম, বাংলানিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল, নিউজটোয়েন্টিফোর টিভির হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, বাংলানিউজের হেড অব নিউজ আহমেদ জুয়েল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট তপন চক্রবর্তী, চিফ অব করেসপন্ডেন্টস তৌহিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক শাহীন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোরশেদ এলিট প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
টিএম/এসএইচএস/এমএ