দুইদিন থেকে সূর্যের তাপ না থাকায় হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আকাশে মেঘ থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গুমোট আবহাওয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মধ্যরাত থেকে প্রকৃতি ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে সড়ক ও নৌ যোগাযোগ। সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
এদিকে শীত প্রকোপে নগরীতে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি। বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। দরিদ্র মানুষের মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে গরম কাপড় বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
শীতের ফলে স্বাভাবিক কাজ-কর্মে নেমে এসেছে অলসতা। এই পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া- দিনমজুর মানুষেরা মুখোমুখি হচ্ছেন অসহনীয় কষ্টের। খড়কুটো জোগাড় করে আগুন জ্বেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। অনেকে অল্প টাকায় গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ফুটপাতে দোকানগুলোতে।
নগরীর দোলখোলা এলাকার বাসিন্দা আলী পাকবাজ জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। পৌষের এ সময় বৃহস্পতিবারের রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টিতে বেড়েছে শীতের ঠাণ্ডার তীব্রতা।
খুলনা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সূর্যগ্রহণ ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। শুক্রবার ভোর থেকে কুয়াশা ও মেঘের কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে বিকেলে সূর্যের দেখা মিলতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এমআরএম/এসএ