সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।
ফুল ব্যবসায়ীরা বলেন, নভেলা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হুমকির মুখে বাংলাদেশ।
ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রী বাবুল প্রসাদ বলেন, এ শিল্পে বর্তমানে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে এবং বছরে ১২০০ কোটি টাকার ফুল ব্যবসা হয়। অল্পদিনের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পের পরই ফুলশিল্পের অবস্থান হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ফুল রপ্তানির মাধ্যমে তাদের রাজস্ব আয় করে, ঠিক সে সময় বিদেশ থেকে কাঁচা ও প্লাস্টিক ফুল আমদানির কারণে আমাদের দেশে ফুল ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। কিছু কুচক্রী মহল চীন, থাইল্যান্ড, ভারত থেকে কাঁচা ও প্লাস্টিক ফুল আমদানি করে আমাদের শিল্প ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি আরও বলেন, কাঁচা ফুলে বিভিন্ন ভাইরাসের উপস্থিতির গুজব ছাড়িয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে কাঁচা ফুলের ব্যবহারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা দেখেছি কাঁচা ফুলের চেয়ে প্লাস্টিকের ফুল থেকে বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা শতকরা ১০০ শতাংশ বেশি। তাছাড়া, প্লাস্টিকের ফুল অপচনশীল হওয়ায় পরিবেশের জন্য হুমকি।
সংবাদ সম্মেলনে আগারগাঁও পাইকারি ব্যবসায়ী সমবায় লিমিটেডের সভাপতি নূর মোহাম্মদ বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ফুলশিল্পের যাত্রা শুরু। ৩৩ বছরের যাত্রা নানা প্রতিঘাত সমস্যা সঙ্কুল অবস্থা থেকে বাংলাদেশের ফুলচাষী ও ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে বর্তমান শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির সহসভাপতি এম এ মান্নানসহ ফুল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
পিএস/এফএম