সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোতে কনটেইনার থেকে বের করে মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, দিয়াবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার। এখানে মেট্রোরেলের সব ইতিহাস তুলে ধরা হবে। এখানে ঠাঁই পাবে মকট্রেন। সাধারণ মানুষকে ধারণা দিতেই এই মকট্রেন। ট্রেনের মধ্যে কী কী করা যাবে, রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন কেমন হবে- এ বিষয়ে ধারণা দিতেই মকট্রেন আনা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা) মো. আবু নাসের বাংলানিউজকে বলেন, মার্চ মাসের শেষের দিকে প্রদর্শনী সেন্টার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মকট্রেন ছাড়াও এই সেন্টারে থাকবে একটি লাইভ ট্রয়ট্রেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ মেট্রোরেল সমন্ধে একটা ধারণা পাবেন। ফলে যখন মেট্রোরেল চালু হবে তখন ঢাকাবাসী সহজেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন। প্রদর্শনী সেন্টারে প্রবেশে কোনো টিকিট নেওয়া হবে না।
‘উত্তরা তৃতীয় ফেজ ডিপোর গেটের পাশে উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে এতে মেট্রোরেলের নির্মাণশৈলীর ইতিহাস তুলে ধরা হবে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এটি পরিদর্শনে আসবেন। এর পাশেই আরও একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত জাপানিদের স্মৃতি তুলে ধরা হবে। ২০১৬ সালের ওই ভয়াবহ হামলায় নিহত বিদেশিদের মধ্যে সাতজন জাপানি নাগরিক ছিলেন যারা মেট্রোরেল প্রকল্পে সমীক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। ’
তিনি বলেন, প্রদর্শনী সেন্টারটি হবে মূলত তাদের স্মৃতি তুলে ধরার জন্যই। এর নকশা করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। নকশার কাজ শেষ হলেই তাদের কাছে জমি হস্তান্তর করা হবে। মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের মাধ্যমে মেট্রোরেলের সব ইতিহাস ও নির্মাণশৈলীর তথ্য জানতে পারবেন দর্শকেরা। মকট্রেন যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়, শুধুই প্রদর্শনীর জন্য। মকট্রেনের পাশাপাশি নিহত জাপানিদের স্মৃতি তুলে ধরতে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে যাত্রীবাহী মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো আগামী ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এমআইএস/এএ