দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নগরের রসুলপুরে যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পাঠাগার।
বিগত ৭ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও একুশের এ দিনে নগরের মূল-ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কীর্তনখোলা নদী তীরের রসুলপুর চরে ব্যতিক্রমধর্মী শহীদ মিনার নির্মাণের এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করে আসছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, আর গত তিন বছর ধরে এ কাজে যুক্ত হয়েছে শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পাঠাগার।
আয়োজকরা জানান, চরের সুবিধাবঞ্চিত কয়েকশ শিশু কলাগাছ, কাঠের গুড়ি, ইট, মাটিসহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রায় অর্ধশত শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে। পরে তারা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
স্থানীয়রা জানান, রসুলপুর চরে বিয়েসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে যা খুব জাকজমকপূর্ণভাবে গ্রামীণ রীতিনীতিতে পালন করা হয়। তবে শহীদ মিনার তৈরির এ প্রতিযোগিতা যেমন চরের বাসিন্দাদের ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ায়। তাই শিশুদের জন্য আয়োজনটি হলেও অভিভাবকরা সবাই এ কাজে সহায়তা করেন এবং চরের সব শিশুরাই গত কয়েকবছর ধরে এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বিকেলে এক পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। যেখানে সেরা ১০ শহীদ মিনার নির্মাণকারীকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
প্রতিযোগিতার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী জানান, নগরের প্রাণকেন্দ্রে একুশের চেতনা নিয়ে নানা আয়োজন থাকে। কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এ চেতনার ছোঁয়া কতটা পাচ্ছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে একুশের চেতনা সৃষ্টি করতে এবং তাদের একুশ সম্পর্কে জানাতে। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই রসুলপুরে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি এরমধ্য দিয়ে এ চরের শিশুদের দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দেশপ্রেম সৃস্টি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
এমএস/ওএইচ/