শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় এলকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে আহতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে পেছন থেকে ডাক দেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন।
পরে জেবিয়ার সেখানে গেলে ভুল বুঝে ডাকার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেন কামাল। এসময় কামাল দুঃখ প্রকাশ করার পরও জেবিয়ার কামালের উপর কিছুটা চড়াও হন। এসময় জেবিয়ার কামালকে ধমকান এবং পরে দেখা করতে বলেন।
পরে কামাল তার বন্ধুদের নিয়ে জিয়া হলে (১২৭) জেবিয়ারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করে কামাল ও তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধান করেন।
পরে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর রুমে কামাল অবস্থান করছেন সংবাদ পেয়ে জেবিয়ার তার বন্ধু ইমতিয়াজ, জয়, সালমান, হামজাসহ প্রায় ১০-১৫ জন কর্মী নিয়ে তার রুমের সামনে যান। এসময় কামাল রুম থেকে বের হলে তারা দরজায় লাথি দেয় এবং জানালার গ্লাস ভাংচুর করেন।
এরপর কামালকে না পেয়ে তারা হল থেকে বের হয়ে আসলে জিয়া মোড় এলাকায় জিয়া হলসহ অন্যান্য হলে থেকে আসা কামাল গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে জেবিয়ারের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয় গ্রুপের কর্মীদের হাতে লাঠিসোঠা, দেশিয় অস্ত্র দেখা যায়।
এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের প্রায় ৮-১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে হিমেল চাকমা নামের এক কর্মীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে আসি। ছাত্রলীগের নেতারা নিজেরাই বিষয়টি সমাধান করায় আমরা কোনো পদক্ষেপ নেইনি। পুলিশ ফোর্স প্রধান ফটকে প্রস্তুত ছিল। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তারা ঘটনাস্থলে আসেনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘন্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
এমএইচএম