সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার মধ্যবিল এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুব্রত উপজেলার বানিশান্তা গ্রামের হৃদয় মণ্ডলের ছেলে।
নিহত সুব্রতের স্ত্রী মাধবী মণ্ডল বলেন, রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুব্রত স্থানীয় বাজারে তাদের নিজস্ব মুদি দোকানে বসে ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল এলে কথা শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। রাতে বাসায় না ফেরায় তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয়-স্বজনের কাছে খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান মিলেনি।
নিহত সুব্রতর বন্ধু নাজিম সরদার বলেন, রাতে এক সঙ্গে দোকোনে বসে ছিলাম। সুব্রতর মোবাইল নম্বরে কল এলে কথা শেষে বেরিয়ে যান। পরে বাড়িতে চলে আসি। এরপর রাত ১২টার দিকে সুব্রতর বাবা মোবাইলে কল করে বলেন তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেলেও রাত দুইটার দিকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মধ্যবিল এলাকায় পাওয়া যায়। ভোরে একই স্থানে সুব্রতকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমি বর্তমানে ঘটনাস্থালে আছি। সুব্রতর গলায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস/