সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মজিবুর রহমান বেপারীকে মৃত্যুদণ্ড ও মো. আবুল কাশেম, আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান ও কামালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে উপজেলার খেড়িহর গ্রামের মো. ফারুকের বাড়িতে ডাকাতি করতে আসে একদল ডাকাত। এদের মধ্যে অধিকাংশই মুখশধারী ছিল। সে সময় ঘরে থাকা লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে তাজুল ইসলাম নামে ফারুকের এক ভাই এগিয়ে আসেন। তখন উপস্থিত ডাকাতরা তাজুলকে ইটপাটকেল মারে এবং গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। ঠিক ওই মুহূর্তে তাজুলের বাবা বুদরুছ ঘরের দরজা খুলে বের হলে ডাকাতরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় ডাকাতদের তাণ্ডবে প্রত্যেক পরিবারের লোকজন এলোমেলোভাবে ছুটাছুটি করলে ডাকাতরা ফারুকের ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
অপরদিকে গুলিবিদ্ধ বুদরুছকে আহত অবস্থায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহিমের কাছে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই শাহরাস্তি থানায় ৩৯৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুল আফসার ভুঁইয়া তদন্ত শেষে উল্লেখিত আসামিদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে প্রমাণ পাওয়ায় ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, মামলায় প্রথমে আসামি ৬ জন থাকলেও আবুল খায়ের নামে একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরববর্তীকালে মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর চলমান অবস্থায় ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক ৩৯৬ ও ৪১২ ধারায় আসামিদের পৃথক সাজায় দণ্ডিত করেন। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে মজিবুর রহমান, আবুল কাশেম ও আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন এবং বাকি দুই আসামি মাহবুবুর রহমান ও কামালের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. সেলিম আকবর, অ্যাড. আনেয়ার গাজী, অ্যাড. রাজেশ মুখার্জি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০/আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা
আরএ