ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার নফছের আলী ছেলে জগো (৩০)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদরের সোনাইডাঙ্গা এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ইলাম মণ্ডল ওরফে কালু (৩২), বৃত্তিপাড়া এলাকার মনোয়ার মণ্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩০), একই এলাকার শামসুলের ছেলে ইউনুচ (৩৫), গজনবীপুর এলাকার মৃত আলম ফকিরের ছেলে বাদশা ওরফে বাশি মণ্ডল (৩৮), দেড়িপাড়া এলাকার তোয়াক্কেল জোয়াদ্দারের ছেলে আলিম ওরফে ঝড়ো (৩৮), উজানগ্রাম এলাকার মোনাউল্লাহর ছেলে বাবলু (৪০), বারুইপাড়া এলাকার আফাজ সর্দারের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার মৃত তাইজাল হোসেনের ছেলে রহমত ওরফে সাইদুল (২৬), ইজ্জত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), ইয়ার আলীর ছেলে আলী হোসেন (২৫) ও আব্দুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে আসাদুল (২১)।  

রায় ঘোষণাকালে ১১ জন আসামির মধ্যে চার আসামি বাশি মণ্ডল, আমিরুল, আসাদুল ও ইলাম মণ্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্য আট আসামি শহিদুল, আলিম, বাবলু, সাইদুল, মিজানুর, আলী, ইউনুচ ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জগো পলাতক থাকায় এরা অনুপস্থিত ছিলেন।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর কুষ্টিয়া সদরের বারুইপাড়া মিনি ক্যানেল পাড়ে ফরিদুলকে জবাই করে হত্যার পর দেহ থেকে মাথা আলাদা করে কাছের একটি ব্রিজের রেলিংয়ের ওপরে রেখে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়দের দেওয়া খবর পেয়ে মাথাবিহীন মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ২৪ অক্টোবর উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় হত্যা মামলা দায়ে করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২০ জুন আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।

মামলায় গ্রেফতার চার আসামির মধ্যে দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানা যায়, মাকিন মণ্ডল নামে একজনকে অপহরণ করে বারুইপাড়া ব্রিজের কাছে নিয়ে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জগোর সন্ত্রাসী ও অপহরণকারী দলের ফরিদুল ও অমূল্য। সেখানে মাকিনকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করার বিষয় নিয়ে ফরিদুলের সঙ্গে জগো ও দলের অন্যদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফরিদুলকে ধরে ধানক্ষেতের মধ্যে জবাই করে হত্যার পর দেহ থেকে মাথা আলাদা করে বারুইপাড়া ব্রিজের ওপর রেখে যায় জগোসহ তার দলের অন্যরা।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বাংলানিউজকে জানান, ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এবং দুই আসামির জবানবন্দিতে অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় ৩০২ ধারায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন দেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।