সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যারা মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাদের স্মরণে ‘হৃদয়ে বায়ান্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হলো।
‘এক্ষেত্রে জনগণের ভাষায় সবকিছু না হওয়ায় তারা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার দরকার। সঙ্গে আজকের পৃথিবী বৈশ্বিক হয়ে যাওয়ায় আরও দুই-একটা ভাষার ব্যবহার জানতে হবে। আমাদের সীমান্তে ভারতীয়রা প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে। ’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে বাংলাদেশ এক দুর্বিষহ যাতনায় আছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে ব্যহত হয়েছে। শিক্ষক পড়াবেনটা কী, পড়াবেন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা। আর ভাষাটা হলো তার মাধ্যম। ভাষাই মানুষকে অধিকার সচেতনতা করতে সহায়তা করে। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি, সেখান থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু। সেই ইতিহাসকে স্মরণ রাখতে হলে আমাদের নিজ ভাষায় অধ্যয়ণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ আনিসুর রহমান (আনু মুহাম্মদ), গণবিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, রেজিষ্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী বাবু, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মনসুর মুসা, অগ্নিসেতু উপদেষ্টা সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক শহীদ মল্লিক প্রমুখ।
আলোচনা শেষে অগ্নিসেতুর সদস্যদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
টিএ