শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার সংলগ্ন মেরংলোয়া মাঠে এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহ্যবাহী আলং নৃত্য, চিত্র প্রদর্শনী, অনিত্য সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অতিথি ভোজনসহ নানা আয়োজনে শেষ হয়েছে এ অনুষ্ঠান।
শেষদিনে দেশি-বিদেশি হাজারও ভক্ত সত্যপ্রিয় মহাথেরের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সন্ধ্যায় চন্দন কাঠের আগুনে পুড়িয়ে তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানকে ঘিরে অনুষ্ঠানস্থলে বাঁশ, কাঠ, ও রঙ্গিন কাগজের কারুকার্যে তৈরি হয়েছে বিশাল আলং। এছাড়া প্রয়াত ভান্তের মরদেহ রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে দোলনা।
জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রিয়রত্ন মহাথেরো জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধ ভিক্ষু ছাড়াও আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, মিয়ানমার, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ প্রতীম রাষ্ট্র থেকে প্রায় এক হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রয়াত ধর্মীয় গুরুর প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানাতে দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুর পাশাপাশি সারাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি জানান, অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ আলং নৃত্য। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অর্ধশতাধিক আলং নৃত্যদল অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এছাড়াও ছিল পণ্ডিত সত্যপ্রিয়র জীবনভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজু বড়ুয়া জানান, এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নানা আয়োজন চলছে। শেষদিনে অন্তত একলাখ পুন্যার্থী সমাগম হয়েছে।
এ দিকে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে রামুতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সম্প্রীতির মেলা শুরু হয়। মেলায় প্রতিদিন সাকার্স, মৃত্যুকূপ, নাগরদোলাসহ শিশুদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক নানা ব্যবস্থা রাখা হয়। এছাড়া মেলায় বসেছে দেশি-বিদেশি পণ্যের দু’শতাধিক স্টল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এসবি/ওএইচ/