সোমবার (০২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ট্রাভেল পারমিট আইনে তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের সদস্যরা।
ফেরত আসা ১০ জন হলেন- খুলনার অথই বিনতে হেনা (১৪), রাজিয়া সুলতানা (১৪), হোসনে আরা বেগম (২৭), বগুড়ার রিতু পর্ণা (১১), বাগেরহাটের জান্নাতুল ফেরদৌস (৯), শরীফা খাতুন (১৯), হবিগঞ্জের তানজিলা আক্তার (১৫), ঢাকার হাজারীবাগের ফাতেমা আক্তার (১১), শরিয়াতপুরের রেশমা কামরু খান (১৬) ও মাগুরার বর্ষা রানী বিশ্বাস (১৭)।
পুলিশ জানায়, ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এদের সীমান্ত পথে ভারতে নিয়ে যায় পাচারকারীরা। সেসময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। পরে বেঙ্গালরের ‘তালাস’ ও মুম্বায়ের ‘নব জীবন’ নামে দুইটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রাভেল পারমিট আইনে তাদের দেশে আনা হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বাংলানিউজকে জানান, ফেরত আসা শিশু-কিশোরীদের মধ্যে আটজনকে ‘জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ার’ নামে ও দু’জনকে ‘রাইটস যশোর’ নামে দুই এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে।
রাইটস যশোর এনজিও সংস্থার কাউন্সিলর তহমিনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, ফেরত আসা কিশোরীদের কাছের স্বজনদের মাধ্যমে এরা পাচারের শিকার হয়। কিশোরীদের পরিবার যদি তাদের শনাক্ত করে মামলা করতে চান, তাহলে তাদের সব ধরনের আইনি সহয়তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এসআরএস