সোমবার (০২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সময়ের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কমলেশ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘সরকার দেশে লুটপাটের রাজত্ব করছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘তিনি (মির্জা ফখরুল) যে দল করেন, সে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
‘তাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়া নিজে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ অর্থাৎ অপ্রদর্শিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন। দেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে তার প্রয়াত পুত্র কোকোর পাচারকৃত টাকা সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারেক ও কোকোর দু’টো ঘটনাই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা উদঘাটন করেছে, বাংলাদেশ সরকার নয়। ’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের নিজের দলই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা হাওয়া ভবন তৈরি করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করছিলেন এবং হাওয়া ভবনের মূল কাজটা ছিল সব ব্যবসায় ১০ পার্সেন্ট টোল বসানো, যেটি সমগ্র দেশের মানুষ জানে। সে কারণে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, সেগুলো আসলে তাদের দলের বেলায়, তাদের নেতৃত্বের বেলায়ই প্রযোজ্য। ’
‘আমাদের সরকার সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে বিধায় দেশে উন্নতি হয়েছে, অগ্রগতি হয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার, সেটি এখন প্রায় ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আমরা অর্থনৈতিক, মানবউন্নয়ন, সামাজিক সমস্ত সূচকে আজ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। পাকিস্তান সেজন্য আক্ষেপ করে। তাদের (বিএনপি) সময় তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার দেশকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। ’
বিএনপি মহাসচিবের অপর বক্তব্য -‘সরকার যদি হস্তক্ষেপ না করতো, তাহলে খালেদা জিয়ার জামিন আরো আগেই হয়ে যেত’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন , ‘আদালতে সরকার কখনই হস্তক্ষেপ করেনি এবং হস্তক্ষেপ করে না। উচ্চআদালতে তারা বারংবার জামিন চেয়েছে, পায়নি। তিনি (খালেদা) রাজনৈতিক বন্দি নন, তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তারা জামিন চাচ্ছে, সেখানে চিকিৎকদের রিপোর্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
‘আরো যে জটিলতাগুলো তারা উল্লেখ করেছেন সেসব সেবা সেখানেই দেওয়া সম্ভব। সুতরাং সেই বিবেচনায় আদালত জামিন দেয়নি। এটা আদালতের এখতিয়ার। ’
তিনি বলেন, ‘আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন বিধায় আমাদের দলের মন্ত্রীদেরও আদালতে হাজিরা দিতে হয়, এমনকি আমাদের দলের এমপিরা দুদকের মামলায় জেলেও গেছেন, আমাদের দলের প্রাক্তন দুদফা মন্ত্রী এমন অনেককে জেলে যেতে হয়েছে, সুতরাং আদালত এখানে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
পিআর/এমএ/